পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের আসাদ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় পদ্মকোট গ্রামের অপুল সরকারের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের। প্রথমে সংসার ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু গত ৫-৬ মাস ধরে যৌতুকের টাকার জন্য সাদিয়াকে চাপ দিচ্ছিলেন আসাদ। বাবার বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা এনে না দিলে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন সাদিয়াকে। নির্যাতনও চালান তার ওপর। এর মাঝে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যায়। এ ঘটনার পর যৌতুকের জন্য আরও চাপ দেন আসাদ ও তার পরিবারের লোকজন।
সাদিয়ার বাবা অপুল সরকার প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরে বর্তমানে বেকার। বাবার কাছে এত টাকা চাইতে পারবেন না জানালে সাদিয়ার ওপর বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফা নির্যাতন চালান আসাদ। গত ২৩ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে দেবিদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ায় ভাড়া বাসায় সাদিয়ার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন আসাদ। পরে প্রতিবেশীদের কাছে প্রচার করেন-‘গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন সাদিয়া’। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় নেওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে সাদিয়ার ছোট বোন নাদিয়া আক্তার জানান, তার বোনকে বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেছে আসাদ ও তার পরিবার। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে কয়েকজনের নামে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসাদকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply