ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বাকড়ি গ্রামে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ও তার লোকজনের হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন, স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম, ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বদরুল হাসান, ফরিদুল ইসলাম, জামিরুল ইসলাম ও আলী হোসেন। তাদের মধ্যে আলী হোসেন ছাড়া অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিল এক নারী সদর থানায় ধর্ষণের একটি মামলা করেন। মামলার অপর আসামি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক শাহীন।
চেয়ারম্যানের ধারণা, তার বিরোধী হিসেবে পরিচিত স্কুলশিক্ষক মাহবুবুল আলম, ইউপি সদস্য বদরুল হাসান ধর্ষণ মামলাটি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর তার সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। পাঁচজনকে আহত করার পরদিন বাকড়ি গ্রামে আবার হামলা চালান চেয়ারম্যানের লোকজন। ভয়ে এলাকাছাড়া হন অন্তত ১৫ জন।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত হামলার অভিযোগ মিথ্যা। বিরোধী একটি পক্ষ সম্মানহানির জন্য মিথ্যা কথা রটাচ্ছে। ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন, মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিলো।
Leave a Reply