রোববার সকালে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরের সুলতানপুর গ্রামের পাশের মাউতি নামক স্থানে ছায়ার হাওরের বোরো ফসলরক্ষা ৮১ পিআইসির (ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) বাঁধটি ভেঙে যায়।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ছায়ার হাওরে ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি রয়েছে। অধিকাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের শাল্লা ও দিরাই উপজেলা, নেত্রকোনার খালিয়াজুরি, ও কিশোগঞ্জের ইটনা উপজেলার হাজারও কৃষকের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
শাল্লা উপজেলার ঘুঙ্গিয়ার গ্রামের কৃষক সুবির সরকার পান্না ও শেকুল মিয়া জানান, তারা ৫০ ভাগ জমির পাকা ধান কেটেছেন। তবে ধান ও খড় হাওরেই রয়ে গেছে। কাটা ধানও আনতে পারবে না। হয়তো জমির ধান ও খড় জমিতেই থাকবে।
শাল্লার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বললেন, ছায়ার হাওরের অর্ধেক জমির ধান কাটা হয়েছে। হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হাওরের কৃষকদের অর্ধেক জমির ধান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব দাবি, হাওরের ৯০ ভাগ ফসল কাটা শেষ। গতকাল শনিবার রাত ১১টায় কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। রাতের ওই সময় তদারকিতে কেউ না থাকায় বাঁধটি ভেঙে গেছে।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, ‘ছায়ার হাওরে ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৯৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকিটুকু ফসল হাওর তলিয়ে যাওয়ার আগেই কৃষকরা কাটার চেষ্টা করছেন। আমাদের আশা কৃষকরা ফসল কেটে তুলতে পারবেন।
Leave a Reply