তবে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র নির্ধারণ করা তারিখের আগেই শেষ হয়ে গেছে কেবিনের টিকিট বিক্রি। ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কেবিনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান অনেক টিকিটপ্রত্যাশী।
একাধিক লঞ্চের মালিক ও ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে প্রায় সব লঞ্চের কেবিনের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে, এখন শুধু ডেক যাত্রীদের টিকিট রয়েছে। এগুলো আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
তারা বলছেন, ডেক যাত্রীদের ঈদযাত্রায় সমস্যা হবে না, এখন অনেক লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করে। ঘোষিত তারিখের আগে কীভাবে কেবিনের টিকিট বিক্রি শেষ হলো-এ প্রশ্নে লঞ্চ মালিক, লঞ্চ মালিক সমিতি বা লঞ্চের ব্যবস্থাপকরা নাম প্রকাশ করে জবাব দিতে রাজি হননি।
বরিশালগামী লঞ্চ এমভি কীর্তনখোলার কেবিনে টিকিট কেনা এক ব্যক্তি জানান, তাদের টিকিট কেনার জন্য টার্মিনালে যেতে হয় না, ফোনে লঞ্চের ব্যবস্থাপককে বলে দিলে তিনি বুকিং করেন বা টিকিট কিনে রাখেন। পরে তারা এসে টাকা পরিশোধ করেন। তিনি বলেন, এভাবে বেশির ভাগ কেবিন যাত্রী ঈদের অগ্রিম টিকিট করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা ২০ এপ্রিল থেকে ঈদের টিকিট বিক্রি করার কথা বলেছি। এখন কেউ আগে টিকিট করে রাখলে আমাদের কিছু করার নেই।’
Leave a Reply