গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপজেলার দেউলি আতিয়ার রহমান খান ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে এই ঘটনাটি ঘটে। বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত দেউলি গ্রামের সেলিম হোসেন (৪০), শাহিন রিপন হোসেন (৩০), আব্দুল্লাহ (২০), হযরত আলী (৫৫), ইশারত আলী (৫২) ও নূর হোসেনকে (৩৫) ঝিকরগাছা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ইনচার্জ কামরুজ্জামান বলেন, মাওলানা আব্দুর রউফ (৫০) দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন। কিছুদিন তিনি অসুস্থ হওয়ায় গ্রামের একটি গ্রুপ তাকে সরিয়ে দিতে চাইলে গ্রামবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মসজিদের ভেতরে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের ছয়জনের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় হাজিরবাগ ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, এই মসজিদ ও মক্তবের হুজুর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আমরা দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টাও করেছিলাম, কিন্তু পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে গেলো।
হাজিরবাগের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, মক্তব ও মসজিদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও টাকা পয়সা নিয়ে মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে কয়েক দফা বসাবসিও করা হয়েছে।
ইনচার্জ কামরুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নজরুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ এখনও মামলা করেনি।
Leave a Reply