নিজস্ব প্রতিবেদক // মেহেন্দিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের কোন্দল যেন ক্রমশই জটিল হয়ে পড়ছে। এর ধরুন হাতাহাতি-সহিংসতা ঘিরে রয়েছে পুরো মেহেন্দিগঞ্জজূড়ে ।
দু’গ্রুপের রাজনৈতিক কোন্দলে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেমন ক্ষতগ্রস্থ হচ্ছে তেমন রাজনৈতিক পরিবেশও প্রতিকূলে অবস্থান নিচ্ছে। তবে এসকল অরাজনৈতিক পরিবেশে উপজেলাকে অস্থিতিশীল অবস্থায় পরিণত করছে খোদ স্থানীয় সাংসদ পংকজ অনুসারীরা।
নিত্য অনুসারীদের তান্ডব ও নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে দক্ষিন বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র অনুসারী স্থানীয় উপজেলার নেতাকর্মীরা চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে।
এতে উপজেলার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্বিগ্নের বিপরীতে হুমকি স্বরুপ হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল ও সিনিয়র রাজনীতিবিদরা। তবে পংকজ অনুসারীদের নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের যেম লাগাম টানা যাচ্ছেনা। প্রশাসনের নানাবিধ তৎপরতায় যদিও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মূহুর্তেই শান্ত পরিবেশে রুপ নিচ্ছে তথাপি এসকল অস্থিতিকর পরিস্থিতির উৎপত্তিস্থলে লাগাম টানা না গেলে রয়েছে প্রাণহানীর সঙ্কাও। স্থানীয় এমপি’র অনুসারীদের বিরুদ্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মূখে অভিযোগের যেন অন্ত নেই।
সহিংসতা ঘিরেই রয়েছে ঐসকল অনুসারীদের হস্তক্ষেপ। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস জূড়েও এই পংকজ অনুসারীদের ছিল অসাধু কর্মকান্ড বাস্তবায়নের পরিকল্পনা বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ।
অভিযোগে জানা যায়, সহিংসতার উদ্দেশ্যে আধিপত্য বিস্তারে স্বাধীনতা দিবসে কর্মসূচীর দিনে শান্ত পরিবেশকে সংঘর্ষ বাধাতে তোরজোড়সহ সর্বোচ্চ প্রস্ততি নেয় পংকজ অনুসারীরা। তবে পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতায় নিমেষেই সেই অপতৎপরতার নস্যাৎ হয়। ঐদিন উপজেলার পাতারহাট বন্দরের পাবলিক ক্লাব থেকে বিপুল গাবের কচা জব্দ করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগে জানান, ইতিপূর্বেও বিভিন্ন দিবসে এমপি’র অনুসারীরা সংঘর্ষ বাধায়। তাদের আধিপত্য বিস্তারে উপজেলার রাজনৈতিক শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে ফেলে।
প্রতিনিয়ত এমন কর্মকান্ডে আমরা বিব্রত। এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, কিছু লাঠি পরিত্যক্ত রাস্তার পাশ থেকে উদ্বার করা হয়েছে। এছাড়া কিছুই আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জের পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন খান জানান, আমদের সাথে স্থানীয় সাংসদের বিরোধীতা, এজন্য সাংসদ পংকজের অনুসারীরা এই গাবের কচাগুলি আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ বাধাতে রেখেছিল।
উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক তার ভাতিজা রাসেল তার নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলার উদ্দেশ্যে এমন পরিকল্পনায় এগুলো রাখা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ না করায় তা ব্যর্থ হয়। উল্লেখ্য, এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা চত্বরে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুড়ালে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের বিদ্যমান দুইগ্রুপ সাংসদ ও মেয়রের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ম্যুড়ালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা পুস্পার্ঘ ছুড়ে ফেলা হয়েছে। হাতাহাতির ঘটনায় একপক্ষ অন্যপক্ষকে দোষারোপ করে ।
Leave a Reply