সাকিবকে শুভেচ্ছা বন্যায় ভাসিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, আবু জায়েদ রাহি নাসুম আহমেদরা।
নিজের ফেসবুক পেজে লিটন লিখেছেন, ‘আপনার মতো একজন সতীর্থ পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আপনার পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু অর্জন করবে বলে আশা করি। আপনার কাছে থেকে অনেক কিছু শিখতে চাই।’
সাকিবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মিরাজ লিখেছেন, ‘বড় দলের সাফল্যের পিছনে সর্বদা একজন মহান মানুষ থাকেন, আমি আশা করি আপনি আমাদের দলকে অনুপ্রাণিত করবেন, উৎসাহিত করবেন এবং আমাদের সমস্ত ক্রিকেটারদের কাছে আপনার উত্তরাধিকার আরও একশ বছর ধরে রাখবেন। ক্রিকেটের কিংবদন্তি সাকিব আল হাসান ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’
সাকিবেরর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তারা লিখেছে, আজ এমন একজনের জন্মদিন যিনি ১০হাজারের ওপরে রান আর ৫০০ এর ওপরে উইকেটের মালিক। বিশ্ব ক্রিকেটে এমন নজির আছে মাত্র ৩ জন ক্রিকেটারের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট আর তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিকও।
বাংলাদেশের অনেক জয়ের মহানায়ক এই সাকিব। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এমন অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি যে রেকর্ড বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারই আগে করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো বা ব্যাট হাতে আবার কখনো বোলিং দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও সাকিব নিজের দাপট ধরে রেখেছেন।
টেস্টে সাকিবের ৪ হাজারের ওপর রান আছে। ওয়ানডেতে এ সংখ্যা ৬,৭৩৭। টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১,৯০৮ রান। এসব হচ্ছে তার ব্যাট ধরা হাতের কীর্তি।
বোলার সাকিবের টেস্টে উইকেট প্রাপ্তি ২১৫ টি। তার অর্জন করা ওয়ানডেতে উইকেট সংখ্যা ২৮৩। টি-টোয়েন্টি খেলে উইকেট পেয়েছেন ১১৯ টি।
এদিকে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পরদিনই দেশে ফিরে আসছেন সাকিব আল হাসান। সাউথ আফ্রিকার স্থানীয় সময় ৯টা ৩০ মিনিট (বাংলাদেশের সময় রাত দেড়টা) দেশের উদ্দেশে রওনা দেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের। দুই সন্তান ও পরিবারের আরও দুই সদস্য অসুস্থ হওয়ায় দেশে ফিরে আসছেন তিনি।
সাকিবের দেশে ফেরার কথা ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলে। কিন্তু সিরিজ শেষ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
যেই সিরিজটাতে সাকিব খেলতে যেতে চাইছিলেন না সেই সিরিজটার পুরোটা সময় তিনি ছিলেন স্বরূপে মূহ্যমান। প্রথম ম্যাচে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৭ রান। তবে বল হাতে পাননি সেই ম্যাচে কোনো উইকেটের দেখা।
দ্বিতীয় ম্যাচে চোখে লাগার মতো পারফরম্যান্স না দেখাতে পারলেও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের জয়সূচক রানটি আসে তার ব্যাট থেকেই। থাকেন ১৮ রানে অপরাজিত। আর বল হাতে বাগিয়ে নেন দুটি উইকেট।
Leave a Reply