বিধবা বৃদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, ‘মশার কামড়ে ঘুমাইতে পারি না, মশারি টাংগাইতে পারিনা। তার দুই চোঁখ অন্ধ, বয়সের ভারে এখন নানা রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে, হয়েছে দূর্বল। সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতার টাকায় চলে ছহিনা খাতুনের খাওয়া ও ওষুধপত্র।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটির দেয়ালের উপরে পুরোনো টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে রাত কাটান অন্ধ ছহিনা খাতুন। মুরগির খোয়ারের মতো ঘরটিতে কোন রকম একজন থাকা যায়। ঘরে নেই কোন জানালা বা আলোর ব্যবস্থা। ১১ বছরের নাতি ফরিদুলের কাঁধে হাত দিয়ে ভিক্ষা করে, আর বিধবা ভাতার টাকা দিয়ে কোনমতে জীবন চলছে তার।
মেয়ে ফুলভানু বলেন, ‘আমার মা খুব কষ্টে আছে। মায়ের থাকার কোনো জায়গা নেই আমি নিজেইে আমার স্বামীর থাকার ঘরের পাশে মাটি দিয়ে মুরগির খোয়ারের মতো করে থাকতে দিয়েছি। এতে তার অনেক কষ্ট হয়। মশার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারে না।’
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২২-২৩ বছর পূর্বে এই বৃদ্ধার স্বামী জনাব আলী মারা যায়। তার স্বামীরও কোন জায়গা জমি ছিল না, অন্যের বাড়িতে থাকতো। অর্থের অভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় দুটি চোখই অন্ধ তার। বিধবা ভাতা পাচ্ছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ঘর পেলে বিধবা ছহিনা অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারত বলে এলাকাবাসি জানায়।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন জানান, ছহিনা খাতুন নয়াবিল ইউনিয়নে সরকারি নির্দিষ্ট স্থানে যদি ঘর নিতে চায় তাহলে ঘরের ব্যবস্থা করা দেওয়া যাবে।
Leave a Reply