এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে গৃহবধূর স্বামী নজরুল ইসলামকে (২৬) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
মৃত মোসা. জান্নাতুল নওমালা ইউনিয়নের পাশের নিজ বটকাজল গ্রামের বাসিন্দা মো. সানু গাজীর মেয়ে। আটক নজরুল ইসলাম নওমালা ইউনিয়নের নওমালা গ্রামের বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম মুন্সির ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে নজরুল ইসলামের সঙ্গে জান্নাতুলের বিয়ে হয়। নজরুল ঢাকায় রডমিস্ত্রির কাজ করেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আসেন তিনি। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী জান্নাতুলকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান।
জান্নাতুলের মা মোসা. তাসলিমা বেগম (৫৫) বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আমার মোবাইল নিয়ে দেখছিল নজরুল।
এ নিয়ে জান্নাতুল ও নজরুলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন আমি বাইরে চলে যাই। ঘরে অন্য কেউ ছিল না। পরে বাড়িতে এসে জান্নাতুলকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই। আমার মেয়েকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে নওমালা ইউনিয়ন কমিউনিটি কেন্দ্রে নিয়ে গেলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জান্নাতুলকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তাসলিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।’ অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শাশুড়ির মোবাইল ধরাকে কেন্দ্র করে জান্নাতুল আমার সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করেছে।
এ কারণে আমি আমার শ্বশুরের ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির অদূরে একটি দোকানে গিয়ে বসে ছিলাম। পরে শুনতে পাই জান্নাতুল বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। সেখান থেকে জান্নাতুলের স্বজনেরা আমাকে আটকের পর মারধর করেছেন।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বিষপানে মারা যাওয়ার আলামত পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে আত্মহত্যা করেছে, নাকি বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়ার আগে বলা যাচ্ছে না।
ওসি আরও বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন জান্নাতুলের স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
Leave a Reply