গত শনিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক জরুরি অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মকর্তাকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে এই নির্দিষ্ট ব্যাচের নাপা সিরাপের নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধ পরীক্ষারাগারে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে দুজন পরিচালকের নেতৃত্বে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ও মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন।
তিনি জানান, একটি কমিটি আশুগঞ্জের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। আরেকটি গাজীপুরে বেক্সিমকোর ওষুধ কারখানা পরিদর্শন করে নির্দিষ্ট ব্যাচের উৎপাদিত ওষুধ কী অবস্থায় রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।
গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে নাপা সিরাপ খেয়ে ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। এরপর জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘নাপা সিরাপ’ বিক্রি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে দেয়।
Leave a Reply