মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য প্রসূতি মায়েদের হাসপাতাল মুখী করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এতে করে বেড়েছে হাসপাতালটির সেবা গ্রহীতার সংখ্যা। বেড়েছে নরমাল ডেলিভারি। ইতোমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এমন উদ্যোগে খুশি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করতে আসা মায়েরা।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের রোগী কল্যাণ সমিতির অর্থায়নে নবজাতক ও তার মাকে উপহার দেয়ার এ উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারি হওয়া মায়েরা জানান, আমরা মনে করতাম হাসপাতালে ডেলিভারি করালে নার্স ও চিকিৎসকদের টাকা দিতে হয়। কিন্তু কামারখন্দ হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তো টাকাই নেয়নি। উল্টো আমাকে ও আমার সন্তানকে উপহার দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, উপজেলার গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে আগ্রহ বাড়াতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক রোগী বা তার স্বজনদের ধারণা হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তাদের এ ধারণা পাল্টে দিতে ডেলিভারি হওয়া সকল মা ও সন্তানকে উপহার দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো গরিব প্রসূতি সন্তান প্রসবের জন্য টাকার অভাবে অথবা গভীর রাতে হাসপাতালে না আসতে পারেন তাদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেয়া হবে।
Leave a Reply