আরিফ হোসেন: বরিশালে মাহিন্দ মিশুক (থ্রী হুইলার),সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ শ্রমিক কল্যান ফি’র নামে চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন চালকরা। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সামনে রাস্তা আটকিয়ে মাহিন্দ ও সিএনজি বন্ধ রেখে ঘন্টা ব্যাপী দাবি আদায়ের লক্ষে বিক্ষোভ করেন শতাধিক মাহিন্দ ও সিএনজি চালকরা।
শ্রমিকরা জানায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে আটোরিক্স,মাহিন্দ ও সিএনজি’র শ্রমিকদের আয় কমে গিয়েছে। তার মধ্যে বরিশাল জেলা আটোরিক্স, আলফা, মাহিন্দ ও সিএনজি নামে শ্রমিক ইউনিয়ের শ্রমিদের কল্যান ফি আদায়দের নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে প্রতিদিনই। শ্রমিক ইউনিয়ের নামে বছরে পর বছর আমাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে সংগঠনটি। কিন্তু করোনাকালীন সময় কোন শ্রমিকরা সংগঠন থেকে এক কেজি চালও পায়নি।
এবং কি অসুস্থ কোন শ্রমিকদের পাশেও থাকেনা সংগঠন। শহরে মধ্যে গাড়ী পাকিং করার নিদিষ্ট কোন স্থান না থাকার কারনে রং পাকিং করা হয়েছে বলে প্রতিদিনই ট্রাফিক পুলিশ আমাদের মামলা দেয়। এব্যাপারে আমরা সংগঠনের কোন লোক আমাদের পাশে থাকেনা। পরে টাকা দিয়ে মামলা ভাঙ্গিয়ে আনতে হয় আমাদের।
শুক্রবার রাস্তায় যাত্রী কম থাকে কিন্তু আমাদের গাড়ী বাড়া কম নেয় না মালিকরা। আমাদের নানা সমস্যার কথা অনেকবার বলেছি ইউনিয়নকে। তারা কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেইনি।
শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি গুলো হলো-১.৬শ’ টাকা ভাড়া ৫শ’ টাকা করতে হবে। ২. শুক্রবার গাড়ী ভাড়া অর্ধেক নিতে হবে মালিকদের। ৩. লঞ্চঘাট থেকে নতুল্লাবাদ ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা করতে হবে। ৪. বরিশাল জেলা আটোরিক্স, আলফা, মাহিন্দ ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ের শ্রমিদের কল্যান ফি’র চাঁদা ২০ টাকা করতে হবে এবং সেই টাকা দিয়ে দূঘটনায় আহত হওয়া শ্রমিকদের মাঝে বিতরন করতে হবে। ৫. নিদিষ্ট পাকিং’র স্থান করতে হবে। ৬. শ্রমিকদের বিপদে তাদের পাশে থাকতে হবে।
কালাম নামে এক সিএনজি শ্রমিক বলেন, আজ ৪ জন লোক নিয়ে নতুল্লাবাদ থেকে লঞ্চঘাট আসছি। এতে আয় হয়েছে ৪০ টাকা। কিন্তু লঞ্চঘাট আসার সাথে সাথেই বরিশালে মাহিন্দ মিশুক (থ্রী) হুইলার),সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ শ্রমিক কল্যান ফি’র ২০ টাকা চাঁদার রিসিভের পরিবর্তে একটি ৩০ টাকা চাঁদার রিসিভ আমার হাতে দিয়ে ৩০ টাকা চান ইউনিয়নের মেম্বার সবুজ।
পরে আমি জানতে চাইলে সবুজ বলেন এখন থেকে ২০ টার পরিবর্তে ৩০ টাকা চাঁদা নিধারন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০ টাকা পরিবর্তে কেন ৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদে আমরা সব শ্রমিকরা এক হয়ে ৬ দফা দাবি নিয়ে গাড়ী বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করি।
পরে সংগঠনের কিছু লোক এসে আমাদের সাথে খুব শিগ্রই বসবে বলে আশ্বাস দেওয়া পরে আমরা যে যার মত চলে আসি। এবিষয়ে বরিশাল জেলা আটোরিক্স, আলফা, মাহিন্দ ও সিএনজি নামে শ্রমিক ইউনিয়ের লাইন সম্পাদক শামিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০ টাকার পরির্বতে ৩০ টাকা নেওয়ার কারনে শ্রমিদের সাথে একটু ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে তা সমাধান হয়েছে। শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ২৫ অক্টোবর শ্রমিকদের সাথে বসে আলোচনা করে তাদের দাবি বাস্তাবায়ন করবো।
Leave a Reply